December 22, 2024, 2:05 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে বহিস্কৃত তিন ছাত্রলীগ নেত্রী শোকজের জবাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
তিনি জানান ঐ তিন ছাত্রী লিখিত জবাব রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত তিনজনের জবাব দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার (৫ এপ্রিল)।
তারা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি।
রেজিস্ট্রার জানান গত ৪ মার্চ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান জবাব দেন।
তবে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, জাহান মিম ও হালিমা আক্তার উর্মি জবাব না দিয়ে এক মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। একইসঙ্গে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনের নথিপত্র চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ মার্চ আরও সাত দিন সময় বাড়িয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ড. আমানুর আমান জানান,নিয়মানুযায়ী ঐ তিনজনের জবাব ছাত্র শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সেখানে পর্যালোচনা করে ঐ কমিটি তাদের পর্যক্ষেণ একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠাবে। সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সিন্ডিকেটে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ঐ পাঁচজনের বিরুদ্ধে। ফুরপরী ঐ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন না।
বিষয়টি হাইকোর্টে গড়ায়। কোর্টের নির্দেশনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। গত ৪ মার্চ সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
তাদের ছাত্রত্ব কেন স্থায়ীভাবে বাতিল হবে না সে মর্মে তাদেরকে শোকজ করা হয়। তারা তার জবাব দিয়েছেন।
Leave a Reply